|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||
নারায়ণগঞ্জে ‘মৃত’ কিশোরীর জীবিত ফিরে আসার ঘটনাটি বিচারিক তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
নারায়ণগঞ্জের চিফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে ৪ঠা নভেম্বরের মধ্যে এ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
এর আগে গত ২৫শে আগস্ট নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার স্কুলছাত্রীর ফিরে আসার ঘটনায় নথি তলবের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন দায়ের করা হয়।
পাঁচ আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এ আবেদন দায়ের করেন। আইনজীবীরা হলেন-মো. আসাদ উদ্দিন, মো. জোবায়েদুর রহমান, মো. আশরাফুল ইসলাম, মো. আল রেজা আমির ও মো. মিসবাহ উদ্দিন।
প্রসঙ্গত, গত ২৪শে আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ধর্ষণের পর নদীতে লাশ ফেলে দেওয়া স্কুলছাত্রীর ৪৯ দিন পর জীবিত প্রত্যাবর্তন’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির ২৪শে আগস্ট প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে আনেন। পরদিন এ নিয়ে রিভিশন মামলা দায়ের করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়-গত ৪ঠা জুলাই ৫ম শ্রেণির ওই ছাত্রী নিখোঁজ হয়। এরপর ৬ই আগস্ট নিখোঁজ স্কুলছাত্রীর বাবা নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অপহরণ মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ আব্দুল্লাহ, রকিব ও খলিল নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
স্বীকারোক্তিতে তারা বলেন, ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেন। জবানবন্দি গ্রহণের পর আসামিদেরকে জেলে পাঠানো হয়। কিন্তু গত ২৩শে আগস্ট ওই ছাত্রীকে খুঁজে পাওয়া যায়। সে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশ হেফাজতে হয়েছে।