পিবিআইয়ের ৬ ঘন্টার অভিযানে ৩ অপহরণকারী গ্রেফতার

মুক্তিপণের দাবিতে সোনারগাঁ থেকে অপহরণের ১ মাস পর ৬ ঘন্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে ঢাকার ও মাদারীপুর থেকে নারীসহ ৩ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই নারায়ণগঞ্জ।এসময় অপহৃত আজিজকে অক্ষত উদ্ধার ও তাদের কাছ থেকে মোবাইল জব্দ করা হয়েছে।

||সারাবেলা প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ ||

মুক্তিপণের দাবিতে সোনারগাঁ থেকে অপহরণের ১ মাস পর ৬ ঘন্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে ঢাকা মাদারীপুর থেকে নারীসহ ৩ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই নারায়ণগঞ্জ।এসময় অপহৃত আজিজকে অক্ষত  উদ্ধার ও তাদের কাছ থেকে মোবাইল জব্দ করা হয়েছে।

শনিবার ৫ সেপ্টেম্বর বেলা ১২ টায় পিবিআই নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম জানান এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, অপহৃত আব্দুল আজিজ গত ৪ আগস্ট বিকাল ৩ টার দিকে কাউকে কিছু না বলে কোরবানির গরু বিক্রয়ের ৮৪ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। সে আর বাড়িতে ফিরে না আসায় ১৯ আগস্ট সোনারগাঁ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে আজিজের পরিবার।  আজিজের ব্যবহৃত মোবাইল দিয়ে অপহরণকারীরা ফোন দিয়ে বিভিন্ন সময় টাকা দাবী করে। তাদের কথা অনুযায়ী কয়েক দফায় ১৫ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠায় আজিজের পরিবার। পরে ৩ সেপ্টেম্বর অপহরণকারীরা ফোন দিয়ে বলে,  বিকাল ৫ টার মধ্যে ২ লক্ষ টাকা না দিলে তার ভাইকে খুন করে ফেলবে।  

    আজিজের ভাই মাছুম পিবিআইকে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানালে অভিযানে নেমে পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলামের তদারকিতে ও প্রযুক্তির সহায়তায় মাত্র ৬ ঘন্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে ঢাকার উত্তর বাড্ডাস্থ ১৯৮, মিস্ত্রিতলায় তার ভাড়া বাসা থেকে অপহৃত আজিজকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের সদস্য রবিনকে আটক করে। রবিনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ও প্রযুক্তির সহায়তায় তার আরেক সহযোগী সুমনকে বাড্ডার আদর্শ নগর থেকে গ্রেফতার করে। এরপর তাদের দেয়া তথ্যমতে এই ঘটনার মূল হোতা লিপি আক্তারকে মাদারীপুর জেলার শিবচরের মির্জাচর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।

    ছবিঃ সংবাদ সারাবেলা

    পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণকারীরা আজিজের কাছ থেকে নেওয়া ৮৪ হাজার টাকা ও বিকাশে ১৫ হাজার টাকার কথা স্বীকার করে। লিপি আক্তার অপহৃত আজিজের চাচাতো ভাই তাজুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী। সে সূত্রেই লিপি আক্তারের সাথে আজিজের পরিচয়। লিপি এর আগে বাড্ডা থানার মাদক মামলায় এক বছর কারাগারে ছিলেন ।

    সেই মামলা সুত্রে জানা যায়, লিপির স্বামীও একই মামলায় বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।অপহরণকারী রবিনের স্ত্রী রিয়া বেগম একটি হত্যা মামলায় দীর্ঘদিন কারাবাসে ছিলেন।সেখান  থেকে এই অপহরণের ছক আঁকা হয়।  এই তিন আসামী একটি সক্রিয় অপহরণ চক্রের সদস্য। তাদের বিষয়ে এখনও অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। আসামীদের সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

    Leave a Comment

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    সংবাদ সারাদিন