|| বার্তা সারাবেলা ||
কুটনৈতিক সম্পর্কের পর এবার ইজরায়েলের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়তে চলেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।এ লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক বিমান চলাচল শুরু হচ্ছে সোমবার থেকে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা ইজরায়েলকে অর্থনৈতিকভাবে বয়কটের আইন রদের ঘোষণা দিয়ে একটি আদেশ জারি করেছেন।আমিরাতের স্থানীয় গণমাধ্যমে শনিবার এ সংক্রান্ত খবর বেরিয়েছে।
সত্তর দশকের শুরুতে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার ইজরায়েলের সঙ্গে সব ধরণের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ নিষিদ্ধ করে একটি আইন করে।এবার আমিরাতের প্রেসিডেন্ট প্রায় পাঁচ দশকের পুরানো এ আইনটি বাতিলের আদেশ দিলেন। এর ফলে আরব আমিরাতের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জন্য ইজরায়েলী নাগরিক ও পক্ষের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি ও লেনদেনে আর বাধা থাকলো না।এখন থেকে আরব আমিরাতে ইজরায়েলী পণ্য-সামগ্রী আমদানি, বিক্রি ও প্রক্রিয়াকরণে কোনো বাধা নেই বলে নতুন আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের বিধিনিষেধ অপসারণের পাশাপাশি ইজরায়েলের সঙ্গে আরব আমিরাতের বিমান যোগাযোগ শুরু হচ্ছে।সোমবার ইজরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রথমবারের মতো একটি যাত্রীবাহী বিমান তেল আবিব থেকে আবুধাবি পৌঁছবে। ইজরায়েলের রাষ্ট্রায়ত্ব বিমান সংস্থার ওই ফ্লাইটে অন্যান্যের মধ্যে থাকবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা ও জামাতা জ্যারেড কুশনার, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ ব্রিয়েন ও ইজরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেইর বেন শাবাত।
এর আগে গত ১৩ই আগস্ট পূর্ণাঙ্গ কুটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয় ইজরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এজন্য যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুই দেশ ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ড’ নামে একটি চুক্তি সই করে।