|| সারাবেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা ||
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে জেলার বিভিন্ন এলাকায় চলছে রমরমা শিক্ষাবাণিজ্য। কিছু শিক্ষক নিজ নিজ বাড়িতে রীতিমত বিদ্যালয় খুলে বসেছেন। সেখানে স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই নেই।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে এমন পাঠদানে যেমন করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে, তেমনি স্বল্প আয়ের অভিভাবকরা করোনাজনিত এই আর্থিক সংকটের সময়ে সন্তানের এমন পাঠের অর্থ যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে গত ১৭ই মার্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ২৬শে মার্চ সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। সেই থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও স্কুল-কলেজের এক শ্রেণীর শিক্ষক পড়ানোর লক্ষ্যে বাড়িতে শিক্ষাবাণিজ্য শুরু করেছেন। ব্যাচ হিসেবে তাদের ছোট ছোট কক্ষে গাদাগাদি করে বসিয়ে পাঠ দেওয়া হচ্ছে। এত প্রতি ব্যাচে ১৮ থেকে ২০ জন করে ছাত্রছাত্রী অংশ নিচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিভাবক বলেন, এক শ্রেণীর শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করছেন। এমনকি অনেক শিক্ষক ফোন করে ছাত্রছাত্রীদের প্রাইভেট পড়তে উৎসাহিত করছেন। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হওয়ায় ভয়ে শিক্ষকদের বাড়ি বা ভাড়া করা রুমে গিয়ে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য হচ্ছে। বিশেষ করে শহরের সরকারি বালক ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। শুধু উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয় প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষকরাও প্রাইভেট বাণিজ্য করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ মাজহার-উল মান্নান বলেন, করোনাকালে যেখানে শিশুদের স্কুলে আসতে দেয়া হচ্ছে না, সেক্ষেত্রে গোপনে বাড়িতে একই কাজ যখন করা হচ্ছে, তা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। এছাড়া প্রাইভেট পড়ানোও সরকারিভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং প্রশাসনের তৎপর হওয়া জরুরি বলে মনে করছেন অভিভাবক ও সজ্জনরা।