|| সারাবেলা প্রতিনিধি, ভোলা ||
ভোলা সদর উপজেলায় জমি বিরোধের জেরে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে গাছ রোপনে বাধা দেয়ায় শিক্ষক পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। হামলায় ওই পরিবারের নারী ও বৃদ্ধাসহ তিন জন আহত হয়েছে।
বুধবার দুপুরের দিকে ভোলা পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ চরনোয়াবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় হামলাকারীরা ঘরের জানালা ও দরজা ভাঙচুর করে। আহতরা হলেন. শিক্ষক রিপন চন্দ্র দাস, তার স্ত্রী শিক্ষিকা সঙ্গীতা রানী ও তার বৃদ্ধা মা বিপুলী রানী। আহত বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
আহত রিপন চন্দ্র দাস জানান, ২০০৪ সালে তার ভাই হিরন চন্দ্র দাস ও খালু ক্ষিতিশ চন্দ্র দাস দক্ষিন চরনোয়াবাদ এলাকার গুরুদাস মৃধা ও কৃষ্ণ দাস মৃধার কাছ থেকে ছয় শতাংশ জমি কিনে ২০০৬ সালে ঘর নির্মান করে বসাবাস করে আসছে। জমি বিক্রির পর তারা ছয় শতাংশ জমি সীমানা নির্ধারণ করে দেয়।
- দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন
- নিজ ছাত্রকে বলাৎকারের পর গলা টিপে খুন করলো মাদ্রাসার ‘বড় হুজুর’
- মৃত্যুদিনে জাতীয় কবি নজরুলকে স্মরণ করলেন দেশের মানুষ
- ইভ্যালিতে যমুনা গ্রুপের বিনিয়োগসিদ্ধান্ত নিরীক্ষার পর
- কাবুলে আইএসের বোমায় নিহতের সংখ্যা এ পর্যন্ত ৯০ জন
কিন্তু কিছু দেন অতিবাহিত হলে কৃষ্ণ দাস মৃধার ছেলে বিধান মৃধা, দিপক মৃধা, পলাশ মৃধাসহ জমি সিমানা নিয়ে জগরা বিবাদ করতে থাকে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে অনেকবার শালিশ মিমাংশা করে সিমানা নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু মৃধা গ্রুপ তা উপেক্ষা করে বিভিন্ন সময়ে হামালা ও ভাঙচুর চালায়। সর্বশেষ বুধাবার দুপুরে দিপক মৃধা, লিটন মৃধা ওরফে ধলু, মনরঞ্জন বালা, শিবু বালাসহ ১০-১৫ জন মিলে আমাদের চলাচলের রাস্তার ইট উঠিয়ে গাছ লাগাতে থাকে। এ অবস্থায় আমি তাদেরকে বাধা দিলে তারা লাঠি ও দেশীয় অস্ত্রসহ আমার উপর হামলা চালায়।
এসময় আমার স্ত্রী ও বৃদ্ধা মা আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদেরকেও মারধর করে। এমনকি আমি দৌড়ে আমার ঘরে ভিতরে ডুকে দরজা বন্ধ করে দিলে তারা আমার ঘরের দরজা ও জানালা ভাঙচুর করে। পরে স্থানীয়রা এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এব্যাপারে হামলাকারীদের মোবাইলে আকাধিকবার ফোন করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও আমাদের কাছে অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।