করোনা নিষেধাজ্ঞাতে পর্যটকশূণ্য হয়ে পড়েছে বাগেরহাট

করোনাকালের দ্বিতীয় ঈদেও পর্যটক ছিল না বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদ ও সুন্দরবনসহ বাগেরহাটের পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে রোজার ঈদের মতো এই ঈদেও পর্যটক ও দর্শনার্থী উপস্থিতিতে নিষেধাজ্ঞা ছিল বাগেরহাটের বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে। যে কারনেই বিনোদনকেন্দ্রের চিরচেনা সেই ভিড় ছিলো না।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, বাগেরহাট ||

করোনাকালের দ্বিতীয় ঈদেও পর্যটক ছিল না বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদ ও সুন্দরবনসহ বাগেরহাটের পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে রোজার ঈদের মতো এই ঈদেও পর্যটক ও দর্শনার্থী উপস্থিতিতে নিষেধাজ্ঞা ছিল বাগেরহাটের বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে। যে কারনেই বিনোদনকেন্দ্রের চিরচেনা সেই ভিড় ছিলো না।

বাগেরহাটের বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদের সামনে গিয়ে দেখা যায় তালাবদ্ধ প্রধান ফটক। ভেতরে প্রবেশ নিষেধ। সামনে কিছু লোকজন ঘোরাফেরা করছে কিন্তু প্রবেশের সুযোগ নেই। ভেতরে সুনসান নিরবতা।

৬শ বছরের বেশী সময় ধরে চলে আসা দেশি-বিদেশী পর্যটকদের কোনো আনা গোনা ছিলো না এই ঈদে। অনেকে আবার নিষেধাজ্ঞার বিষয় না জেনে এসে গেট থেকে ফিরে যাচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পর্যটকদের আনাগোনায় জনাকীর্ণ ষাটগম্বুজ মসজিদ ও ষাটগম্বুজ স্টেশন ছিলো জনশূণ্য। বিভিন্ন রাইডসগুলোতে দীর্ঘদিন মানুষের স্পর্শ না থাকায় মরিচা পড়েছে। তবে ষাটগম্বুজ মসজিদ প্রাঙ্গণে নানা প্রজাতির ফুল ফুটেছে। নতুন রূপে সেজেছে মসজিদ প্রাঙ্গণ। প্রাণ ফিরে পেয়েছে প্রকৃতি। তবে দীর্ঘদিন এ ধরনের পর্যটকশূণ্য বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদ মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে স্থানীয়দের।

একইভাবে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন, বাগেরহাট যাদুঘর, বাগেরহাট সদর উপজেলার বারাকপুররে সুন্দরবন রিসোর্ট, কৃত্রিম তাজমহল খ্যাত সদর উপজেলার চন্দ্রমহল, পৌর শিশুপার্ক, খানজাহান আলী মাজারসহ সব বিনোদনকেন্দ্রেই ছিল তালা।

বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আক্তারুজ্জামান বাচ্চু বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে এখানে পর্যটক আসা নিষেধ। শুধু ওয়াক্তিয়া নামাজে কিছু মানুষ এখানে আসছেন এবং নামাজ পরে চলে যান।

প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের বাগেরহাটের কাস্টোডিয়ান গোলাম ফেরদাউস বলেন, করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পরে সরকারি নির্দেশে আমরা ষাটগম্বুজ মসজিদে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ রেখেছি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন