|| সারাবেলা প্রতিনিধি, রামপাল(বাগেরহাট) ||
ঈদের আর মাত্র একদিন। এখনো জমে ওঠেনি রামপালের ফয়লাহাট পশুর হাট। ক্রেতা তেমন না থাকলেও দামের দিক থেকে এখনো বেশ চড়া। মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ক্রেতা সংকটে পড়েছে উপজেলার বৃহত্তম কোরবানীর পশুরহাট ফয়লাহাট।
প্রতি বছরই দক্ষিনাঞ্চলের বৃহত্তম এই পশুর হাট জমে উঠলেও এবার করোনার প্রভাবে উভয় সংকটের মুখে পড়েছে ক্রেতা-বিক্রেতারা। ফলে ব্যবসায়ী ও ইজারাদারদের দুশ্চিন্তা ক্রমশই বাড়ছে। অনেকেই পুঁজি নিয়ে ঘরে ফিরতে পারবেন কিনা তা নিয়ে রয়েছেন সংশয়ে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, এবার কোরবানির পশু বিক্রি কম হলেও সিন্ডিকেট করে দাম কমাচ্ছেন না বিক্রেতারা। পাশাপাশি করোনাভাইরাস সংক্রমণ আতঙ্কে হাটে ক্রেতা আসছেন খুব কম। সেইসঙ্গে রয়েছে করোনা অভিঘাতে অর্থসংকট। এরই মাঝে ঈদের হাটে পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব।
বৃস্পতিবার হাটে গরু কিনতে আসা একাধিক ক্রেতা জানান, হাটে গরু উঠেছে, কিন্তু বেচাকেনা নেই। দাম বেশি চাওয়ায়ও ক্রেতাদের আগ্রহ কম। করোনা আতঙ্কে অনেকেই হাটে আসছে না৷ মানুষ খুব অর্থনৈতিক সমস্যায় আছে তাই বেচাকেনা হচ্ছেনা ৷
এদিকে হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেচাকেনা করার জন্য ইজারাদারদের পক্ষ থেকে মাইকিং করে বারবার সতর্ক করা হচ্ছে৷ বাগেরহাট জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও একটি টহল টিম উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে মাইকিং করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে চালাচ্ছেন প্রচারণা৷ পুলিশ এবং আনসারের সমন্বয়ে হাটের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে৷
হাটে যাতে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সেজন্য উপজেলা প্রশাসনও রয়েছে তৎপর৷ রামপাল উপজেলা এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শোভন কুমার সরকার হাটের প্রবেশমুখে উপস্থিত থেকে আগত লোকজনকে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় জরিমানা এবং সচেতন করেছেন ৷ তিনি বলেন, আমরা সকাল থেকেই গরুর হাটের সার্বিক পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছি৷ স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ২০ মামলার মাধ্যমে লোকজনকে ৩ হাজার ৮শত টাকা জরিমানা করা হয়েছে৷ সচেতনতা কার্যক্রম অব্যাহত আছে৷ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ মোতায়েন আছে৷
পাশাপাশি হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবকরা সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করছে৷ হাটের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে৷ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষের বেচাকেনা করতে কোনো সমস্যা হচ্ছেনা।