পথ খুলছে বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফেরানোর

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া খুনি রাশেদ চৌধুরীর অভিবাসন মামলাটি আবার পুনরুজ্জীবিত করতে যাচ্ছে দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গেলমাসের শেষের দিকে এই মামলা পুনরুজ্জীবনের নির্দেশনা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার।

|| বার্তা সারাবেলা ||

রাশেদ চৌধুরী। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকান্ডের পরিকল্পকদের অন্যতম একজন। বঙ্গবন্ধু হত্যামামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী এই খুনিকে অনেক দিন ধরেই দেশে ফেরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীণ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। এবার সরকারের সেই চেষ্টায় বড় ধরণের অগ্রগতি হতে যাচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া খুনি রাশেদ চৌধুরীর অভিবাসন মামলাটি আবার পুনরুজ্জীবিত করতে যাচ্ছে দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গেলমাসের শেষের দিকে এই মামলা পুনরুজ্জীবনের নির্দেশনা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার।

চল্লিশ বছরের পুরনো এই মামলার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে একটি ভূখন্ডের জাতিগোষ্ঠির স্বাধীনতার স্থপতি, একটি জাতির বিনির্মাতা সর্বোপরি বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষার প্রতীকের খুনের ইতিহাস। রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের বিরুদ্ধে একজন বাংলাদেশি সেনা কর্মকর্তার রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার সংগ্রামসমৃদ্ধ কাহিনী।

রাশেদ চৌধুরীকে অভিবাসীর স্বীকৃতি দিতে এই মামলা চলেছিল প্রায় পনেরো বছর। সেই মামলাটি পুনরুজ্জীবিতি করার নির্দেশ দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের ধন্যবাদ পাওয়ার সুযোগ করে নিলেন উইলিয়াম বার।

তবে যারা ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় পেয়েছেন তাদের জন্য এই মামলা পুনরুজ্জীবনের উদ্যোগকে বিপদবার্তা বলছেন দেশটির অভিবাসন আইনজীবীরা।তারা বলছেন, এই মামলা পুনরুজীবিত হওয়ার পর যদি তাতে জয়ী প্রার্থী হেরে যান তাহলে তো এমন অনেকের জন্যই আর কোন আইনী রক্ষাকবচ অবশিষ্ট থাকবে না। শুধু তাই নয়, অ্যাটর্নি জেনারেলের এমন উদ্যোগ জানাবার সময়টার মধ্যে রহস্যের গন্ধও পাচ্ছেন এসব আইনজীবী।

এই উদ্যোগকে ‘নোংড়া খেলা’ জানিয়ে রাশেদ চৌধুরীর আইনজীবীরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত যদি এমনটাই হয়, তাহলে তাদের মক্কেলকে নিশ্চিতভাবেই ফাঁসিতে ঝুলতে হবে। বাংলাদেশ সরকারও ফাঁসিতে দন্ডিত এই খুনিকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কয়েক দশক ধরে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার এতো বছর পর মিমাংসিত একটি বিষয় নিয়ে আবার কেন উদ্যোগি হচ্ছে জানতে চাইলে রাশেদ চৌধুরীর পক্ষের আইনজীবী মার্ক ভ্যান ডের হাউট বলেন, “এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, বাংলাদেশের পক্ষে ট্রাম্প প্রশাসনের সুসমর্থন রয়েছে বলেই এই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে প্রত্যর্পনের বিষয়ে বেশ ক বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রকে পক্ষে আনার নানা পর্যায়ের চেষ্টা চালিয়ে আসছে বাংলাদেশ সরকার।আর এতে কোন সন্দেহ নেই যে, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বারের এই উদ্যোগ বাংলাদেশ সরকারকে যারপর নাই আনন্দের কারণ হবে।

তবে এখন পর্যন্ত এটা খুব একটা পরিস্কার নয় যে, ঠিক কেন অ্যাটর্নি জেনারেল রাশেদ চৌধুরীর মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করতে যাচ্ছেন—এবং তাঁর পরবর্তি পরিকল্পনাই বা কি? সংশ্লিষ্টদের সাক্ষাতকার এবং সম্পর্কিত আইনী তথ্য-উপাত্ত ও দলিলাদি পর্যালোচনার মাধ্যমে রাশেদ চৌধুরীর এই গল্পটি খুঁজবার চেষ্টা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদপত্র পলিটিকো। যে গল্পে বিধৃত হয়েছে রাশেদ চৌধুরীর যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন সুবিধা পাওয়ার কথকতা। https://www.politico.com/news/2020/07/24/rashed-chowdhury-asylum-death-sentence-381075

রাশেদ চৌধুরীর রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার কথকতা

রাশেদ চৌধুরীর অভিবাসন মামলায় মানবাধিকার তদন্ত করিয়েদের উপস্থাপিত তথ্যমতে মার্কিন বিচারকদের উল্লেখিত নথি বলছে, গল্পের শুরুটা ১৯৭৫ সালে। রাশেদ চৌধুরী তখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসর পেয়েছেন বা নিয়েছেন-দুটোই বলা যায়। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে সদ্য স্বাধীন হওয়া একটি দেশ, এবং দেশটির প্রথম নেতা—শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি শেখ মুজিব নামেই সমধিক পরিচিত—ইতোমধ্যেই নিজের অনেক শত্রু বানিয়ে ফেলেছেন। যিনি প্রায়শই অভিহিত হন বাংলাদেশের জাতির পিতা হিসেবে। কিন্তু তাঁর রয়েছে কর্তৃত্বপরায়ন মনোভাব। তাঁর (শেখ মুজিবুর রহমান) শাসনসময়ে বাংলাদেশ সরকার স্থগিত করে শাসনতন্ত্র, নিষিদ্ধ করা হয় সকল রাজনৈতিক দল, বন্ধ করে দেওয়া হয় সংবাদপত্র এবং সমালোচকদের করা হয় কারাবন্দি। মার্কিন এক অভিবাসন বিচারক লিখেছেন, “১৯৭৫ সালের আগস্টে শান্তিপূর্ণ উপায়ে শেখ মুজিব শাসনবিরুদ্ধ কোন রাজনৈতিক পরিবর্তনের সুযোগ ছিল না।”

নিজের পক্ষে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আদালতে রাশেদ চৌধুরী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ভোরবেলা সহকর্মী সেনা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন তারা রাষ্ট্রপতিকে উৎখাত করতে অভ্যূত্থান অভিযান চালাতে যাচ্ছেন। এর কয়েক ঘন্টা পরই অভ্যূত্থান অভিযান শুরু হয়্। তাঁকে (রাশেদ চৌধুরী) পাঠানো হয় দেশের প্রধান রেডিও স্টেশনের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য। সকাল হতেই রেডিও ভবনের নিরাপত্তা কর্মীরা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে তাঁর এবং তাঁর সহযোদ্ধাদের কাছে।

রাশেদ চৌধুরী তাঁর সাক্ষ্যে এও বলেন, এরইমধ্যে অন্য অভ্যূত্থানসহযোগিরা রাষ্ট্রপতি ও তার পরিবারের বেশীর ভাগ সদস্যকে হত্যা করেছে। যাদের মধ্যে ছিল দশ বছরের এক শিশু ও একজন গর্ভবতী নারী। ইউরোপে অবকাশ কাটানোয় প্রাণে বেঁচে যান মুজিবের দুই মেয়ে।

মানবাধিকার তদন্ত করিয়েদের দেওয়া তথ্য-উপাত্ত আর রাশেদের সাক্ষ্য সবমিলিয়ে ২০০৪ সালে মামলার রায় দেন বিচারক ফ্যান কোয়াং তুয়ে। রায়ে রাশেদের পক্ষে সিদ্ধান্ত জানিয়ে এই বিচারক বলেন, তার কাছে সব তথ্য আর রাশেদের দেওয়া সাক্ষ্যে মনে হয়েছে এগেুলোর প্রামাণিক অবস্থান খুব জোরালো। এবং এতে প্রমাণিত হয়েছে যে, “রাশেদ চৌধুরী লাস্ট-মিনিট ইনডাক্টি অর্থাৎ খুন সংঘটনের শেষ পর্যায়ে অংশ নেন এবং অভ্যূত্থানে অপেক্ষাকৃত কম ভূমিকা ছিল তার।”

এছাড়া রাশেদ চৌধুরী নিজেও মনে করেন এবং অভিবাসন বিচারকরাও একমত যে হত্যাকান্ডে তার কোন ভূমিকা ছিল না। এবং অভ্যূত্থানের কিছু সময় পরে সে সমযের বাংলাদেশ সরকার অভ্যূত্থানে অংশ গ্রহণকারী ও পরিকল্পকদের দায়মুক্তি দিতে শাসনতন্ত্র সংশোধন করে। অভ্যূত্থানের পর বিশ বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রাশেদ চৌধুরী।

তবে ১৯৯৬ সালে মুজিবের বেঁচে যাওয়া এক কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এবং সেসময়ের সংসদ ১৯৯৭ সালে অভ্যূত্থানের পরিকল্পকদের দায়মুক্তি প্রত্যাহার করে নেয়। নতুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাবার খুনের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দেওয়ার উদ্যোগ নেন। শেখ হাসিনা যখন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন সে সময়ে রাশেদ চৌধুরী ব্রাজিলে বাংলাদেশ দূতাবাসে শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবে কাজ করতেন। এবং তাকে দেশে ফিরে আসার নির্দেশনা দেওয়া হয়। আদালতের শাস্তি কার্যকর হবে এই ভয়ে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে আসেন ছেলে ও স্ত্রীকে সঙ্গে করে।

রাশেদ চৌধুরী ও তার পরিবার ভিজিটর ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আসেন ১৯৯৬ সালে। আসার পর দুই মাসের মধ্যে আশ্রয় বা অ্যাসাইলাম প্রার্থনা করেন তারা। এরপরই শুরু হয় বিচার বিভাগের কাজ।

আমেরিকার অভিবাসন আদালতগুলো বিচার বিভাগের অংশ নয়। তারপরও এসংক্রান্ত পথপদ্ধতিটাই নির্ধারণ করে কে বা কারা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করতে পারবে। আর নির্ধারণের এই পদ্ধতিটা বিচার বিভাগের অংশ। যেখানে অ্যাটর্নি জেনারেলই সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। যদিও অভিবাসীরা তার বিপক্ষে দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনার জন্য ফেডারেল অ্যাপিলিয়েট আদালতে আপিল করতে পারেন। তবে বাস্তবতা এই যে, যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আদালতগুলোতে মামলার সংখ্যা এতো বেশী যে, আশ্রয়প্রার্থিদের মামলাগুলোর নিষ্পত্তি হতে বছরের পর বছর সময় লেগে যায়।

রাশেদ চৌধুরীর ক্ষেত্রেও এমনটার ব্যত্যয় হয়নি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আসবার পর দশ বছর পর অভিবাসন বিচার তার আশ্রয় প্রার্থনার পক্ষে রায় দিয়েছিলেন। কিন্তু ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি যারা কিনা অভিবাসীর যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় পাওয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। এবং অভিবাসন বিচারকের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলও করে থাকে। রাশেদ চৌধুরীর ক্ষেত্রেও ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিট’র আইনজীবীরা যুক্তি দেন যে, অভ্যূত্থানে তাঁর অংশগ্রহণের কারনেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় পেতে পারেন না।

এই প্রেক্ষাপটে মামলাটি আমলে নেয় ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের বোর্ড অব ইমিগ্রেশন অ্যাপিলস। অভিবাসন বিচারকদের তদারকি করবার পাশাপাশি তাদের সিদ্ধান্ত পাল্টে দেওয়ারও ক্ষমতা রাখে বিচার বিভাগের অধীন এই সংস্থাটি। শেষ পর্যন্ত ২০০৬ সালে বোর্ড অব ইমিগ্রেশন অ্যাপিলস অভিবাসন বিচারকের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষন করে এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেন যে, রাশেদ চৌধুরী আশ্রয় পাওয়ার যোগ্য।

রাশেদ চৌধুরীর পক্ষে চূড়ান্ত এই সিদ্ধান্ত আসবার পরও একটি প্রশ্ন থেকেই যায়। আর সেটি হচ্ছে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরুদ্ধ আইনের কোন ধরণের লঙ্ঘন করেছেন কিনা? এই কারণে মামলাটি আবারও খতিয়ে দেখার জন্য অভিবাসন বিচারকের দফতরে ফেরত পাঠায় বোর্ড অব ইমিগ্রেশন অ্যাপিলস। অভিবাসন বিচারক আশ্রয় অনুমতি না দেওয়ার মত কোন কারণ খুঁজে না পাওয়ায় রাশেদ চৌধুরীর আইনজীবীরা ধরেই নেন যে, বিষয়টি নিস্পত্তি হয়ে গেছে।

এরই মধ্যে শেখ হাসিনার সরকার রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফেরত আনতে জোর চেষ্টা শুরু করে। ২০১৬ সালে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাতই নভেম্বর ইস্যূর মতামত কলামে রাশেদ চৌধুরীকে ‘খুনি’ অভিহিত করে একটি নিবন্ধ লেখেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তাতে তিনি রাশেদ চৌধুরীকে প্রত্যর্পন করার আহ্বান জানান, যাতে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যায়। ঐ নিবন্ধে বিচার প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠু ও সঠিক বলেও দাবি করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

এতো বছরেও বাংলাদেশ সরকারের চেষ্টাতে গা করেনি যুক্তরাষ্ট্র সরকার। তবে রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সময় বাংলাদেশ সরকার রাশেদ চৌধুরীর প্রত্যর্পনের ব্যাপারে নিশ্চিত করেই আশাবাদি হয়ে ওঠে। এতে কোন সাফল্য না আসলেও ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আরেক সংবাদপত্র দ্য ডেইলি কলার পত্রিকাতে বাংলাদেশি কূটনীতিকদের বরাতে লেখা হয়, তারা (বাংলাদেশ সরকার), “রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশ ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসনের দিক থেকে উৎসাহব্যাঞ্জক ইঙ্গিত পেয়েছে”।

গেল নভেম্বরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক অ্যালিস ওয়েলস তার কাছ থেকে রাশেদ চৌধুরীর বিচার সম্পর্কিত প্রামাণিক তথ্য ও দলিলাদি চেয়েছেন, যাতে করে যুক্তরাষ্ট্র সেগুলো পর্যালোচনা করতে দেখতে পারে। গেল এপ্রিলেও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে রাশেদ চৌধুরীর মামলার ব্যাপারে এক প্রকার চাপই দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

তবে এসব কিছু শেষে গেল মাসে পাল্টে যায় অনেক কিছু। জুনের সতেরো তারিখে অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার ফের খতিয়ে দেখার জন্য রাশেদ চৌধুরীর মামলার যাবতীয় সব তথ্য-উপাত্ত ও প্রামাণিক দলিলাদি তাঁর কাছে পাঠাতে বোর্ড অব ইমিগ্রেশন অ্যাপিলসকে নির্দেশনা দেন। এমনকি পরিস্কার করেই জানান, তিনি মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করবেন, যা কিনা এক দশক আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন