||সারাবেলা প্রতিনিধি, ভালুকা||
ময়মনসিংহের ভালুকায় কওমী মাদরাসার পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী পুনরায় শারীরিক মিলনে রাজী না হওয়ায় তাকে আগে ধর্ষণকালে করা ভিডিও প্রকাশ করে দেওয়া অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের পাড়াগাঁও গৌরীপুর গ্রামের। ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে ভালুকা মডেল থানা একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের পাড়াগাঁও গৌরীপুর গ্রামের জবান মুন্সীর ছেলে মারুফ (১৭) ও একই ফজলুল হকের ছেলে আতিকুল ইসলামকে (২১) আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, পাড়াগাঁও গৌরীপুর গ্রামের কওমী মাদরাসায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রীকে মাদরাসায় আসা যাওয়ার পথে মারুফ উত্যক্ত করত। গত ১৫এপ্রিল পরিবারের অন্যান্য লোকের অনুপস্থিতিতে ছাত্রীটিকে বাড়িতে একা পেয়ে মারুফ তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ছাত্রীটি ডাক চিৎকার শুরু করলে মারুফ পালিয়ে যায়।
এদিকে ওই ঘটনার সূত্র ধরে একই গ্রামের আতিকুল ইসলাম ওই ছাত্রীকে জানায়, সে মারুফের ঘটনা জেনে গেছে। আতিকুল মেয়েটিকে তার সাথেও শারীরিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব দেয়। অন্যথায় সে মারুফের সাথের ঘটনা প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকী দিয়ে গত ২৮ মে আতিকুল তাকে জোরপূর্বক নিজের ঘরে নিয়ে যায়। ওই সময় মারুফ আতিকুলের ঘরে অবস্থান করছিল। পরে তারা দুজন পর্যায়ক্রমে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ ও ধর্ষণের চিত্র মোবাইলে ধারণ করে। পরবর্তীতে তারা আগের ধর্ষণকালের করা ভিডিও দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। মেয়েটি রাজী না হওয়ায় তারা ওই ভিডিওটি একাধিক ব্যাক্তির কাছে প্রকাশ করে দেয়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) বিকেলে ভালুকা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ওই ছাত্রীর বাবা। এদিকে মামালার পরপরই আসামি মারুফ ও আতিকুল ইসলাকে গ্রেপ্তার করে।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন জানান, ওই ঘটনায় মামলা নিয়ে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।