|| সারাবেলা প্রতিনিধি, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) ||
যাত্রীদের সুবিধার্থে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যাত্রী ছাউনি করা হলেও সেগুলো এখন দোকানি, সিএনজিচালক আর বখাটেদের দখলে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলাজুড়ে বিভিন্ন স্থানে বিশটির বেশী যাত্রী ছাউনি রয়েছে। কিন্তু তার কোথাও যাত্রীদের বসার পরিবেশ নেই। অনেকগুলো যাত্রী ছাউনিতে চলছে বখটেদের সিগারেটের টান, আর কিছু যাত্রী ছাউনিতে ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সোনালী ব্যাংকের সামনের যাত্রী ছাউনিতে চেয়ার টেবিল বসিয়ে চলছে চায়ের দোকান। ৬ নম্বর বারাখাইন ইউনিয়নের বারাখাইন রাস্তার মাথায় যাত্রীছাউনি থাকলেও থামেনা বাস, তাই যাত্রীরা বাসের জন্য ছুটতে থাকে রাস্তায়। ১০ নম্বর হাইলধর ইউনিয়নের মালঘর বাজার যাত্রী ছাউনির সামনে সিএনজি স্টেশন। সিএনজির ফাঁকে বোঝার অবস্থা নেই এখানে কোন যাত্রীছাউনি আছে। এই যাত্রীছাউনি জুড়ে এখন ময়লার স্তুপ। যা আসছে পাশের ৩ তলা মদিনা মার্কেট থেকে।
২ নম্বর বটতলী ইউনিয়নের বটতলী কলেজের সামনের যাত্রী ছাউনির সামনে নির্মাণ করা হয়েছে ছাত্রলীগ কার্যালয়ের গেইট। রাতের বেলা এইসব যাত্রী ছাউনিগুলোতে বখাটেরা মেতে ওঠে জুয়া আর নেশা নিয়ে। এই অবস্থা প্রায় উপজেলার সবকটি যাত্রী ছাউনির।
এই বিষয়ে অভিযোগ তুলে আনোয়ারা-চন্দনাইশ রাস্তার নিয়মিত যাত্রী মুরশেদুল ইসলাম বলেন, যাত্রী ছাউনি নামে আছে কিন্তু পরিণত হয়েছে বখাটে ছাউনিতে। একটু বসার পরিবেশও নেই, চারপাশে নোংরা যেন মনে হয় ডাস্টবিনে বসে আছি।
এই বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব তৌহিদুল হক চৌধুরী বলেন, এই বিষয়ে ইতিপূর্বে কোনো অভিযোগ আসেনি। ইউএনও‘র সাথে আলোচনা করে বিষয়টি সম্পর্কে পদেক্ষেপ নেওয়া হবে।