মানিকছড়িতে দখলদারদের দৌরাত্মের কাছে অসহায় মানুষ

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলায় ভূমি জবর দখল, অনিয়ম, জোর করে দীর্ঘ দিনের সৃজিত গাছ কেটে ফেলার মতো বেড়েই চলেছে। বিরোধিতা করে আর প্রশাসনের কাছে গিয়েও কোন কুল পাচ্ছেন না স্থানীয়রা।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি ||

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলায় ভূমি জবর দখল, অনিয়ম, জোর করে দীর্ঘ দিনের সৃজিত গাছ কেটে ফেলার মতো বেড়েই চলেছে। বিরোধিতা করে আর প্রশাসনের কাছে গিয়েও কোন কুল পাচ্ছেন না স্থানীয়রা।

এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলেও আইন প্রয়োগকারীর সংস্থার পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা না নেওয়া ভেঙ্গে পড়েছে আইনের শাসন। ফলে বেড়েই চলেছে অনিয়ম-দূর্নীতি থেকে শুরু করে গ্রামীণ সমাজের দাপুটেদের দৌরাত্ম। তাই পুলিশ প্রসাশনের পক্ষ থেকে অভিযোগের বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থার দাবী করেছেন ভুক্তভোগীরা।

মানিকছড়ি উপজেলার তিনটহরী এলাকায় এক শ্রেণীর দুষ্কৃতি প্রতারক চক্রের ছত্রচ্ছায়ায় ভুয়া কাগজপত্র এবং একেক সময় একেক কাগজ হাতে লিখে দলিল হিসেবে ব্যবহার করে জমি দখল ও বেচাকেনা করছে। এই সকল চক্রের প্রতারণা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী ভুক্তভোগীদের।  

নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করলে এসব অনিয়ম ও জটিলতার মুল উৎপাটন সম্ভব বলে মনে করছেন সচেতনমহল। মানিকছড়ির বিভিন্ন এলাকায় ভূমি বিরোধকে কেন্দ্র করে মামলা-হামলাসহ অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটছে। তবে ভূমি জটিলতার নিরসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ভূমি জটিলতা, প্রতারক, দুষ্কৃতি ও দূর্নীতিবাজরা স্থানীয় বাসিন্দাদের রেকর্ডিয় ভূমিতে জটিলতা সৃষ্টি করছে।

মানিকছড়ি উপজেলার তিনটহরী মধ্যপাড়ার ভুক্তভোগী ছিদ্দিক আহাম্মদের ছেলে শাহ আলম ও আবু তালেব জানান, গত ১৮ই মার্চ সকালে এরশাদ মিয়াসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন লোকজন এসে নামীয় জায়গা হইতে ০৩ (তিন) টি চাপালিশ গাছের মধ্যে একটি কেটে ফেলে এবং অপর দুটি কাটার জন্য প্রস্ততি নিলে তারা দেখতে পেয়ে এরশাদ মিয়াকে বাধা দিলে তিনি তা মানেননি। এছাড়াও, মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে অন্য লোকের প্ররচণায় ভুয়া কাগজপত্রসহ এরশাদ মিয়া মানিকছড়ি উপজেলা কার্যালয়ে নির্বাহী অফিসারকে লিখিত দরখাস্ত দেন। যার  পরিপ্রেক্ষিতে, মানিকছড়ি উপজেলা কার্যালয় থেকে ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার শাহজাহান সরকারসহ কয়েকজন লোক আদালতের পুর্বের রায় অমান্য করে না জানিয়ে শাহ আলম ও আবু তালেব গংদের জায়গা মাপার জন্য যায়।

তৎক্ষনিক ভুক্তভোগীরা বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিক নুরুল আলমকে জানালে তিনি ১১ই এপ্রিল সকাল ১১টায় খাগড়াছড়ি থেকে মানিকছড়ি উপজেলা ভূমি অফিস কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে পূর্বের চুড়ান্ত ভূমি সংক্রান্ত রায়ের কপিসহ একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

এছাড়াও, শাহিন, শাহজাহান, এরশাদ এবং মঙ্গল মিয়া নামের কয়েকজন মিলে আদালতের দেওয়া উচ্ছেদের চুড়ান্ত রায়কে অমান্য করে দেশের প্রচলিত আইনের তোয়াক্কা না করে জোর করে একেক সময় একেক ভাবে ভাড়া করা সন্ত্রাসী নিয়ে জায়গা দখলের চেষ্টা ও গাছপালা কেটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছে।

এসকল সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মদদদাতা হিসেবে তিনটহরীর আলী হোসেনের নাম উঠে এসেছে। যার কাজ ভুয়া কাগজ পত্র লেখা এবং ব্যক্তি বিশেষের দালালি করা। এসকল ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রশাসনিক ব্যবস্থার দাবি করেছেন ভুক্তভোগিরা।

সংবাদ সারাদিন