পাবনীর ভাঙা কালভার্ট রাতের বেলায় মরণ ফাঁদ

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, পুরোনো এ কালভার্ট নিয়ে প্রশাসনের নেই কোনো তাগাদা আর মাথা ব্যথা । ব্রিজ সংলগ্ন জমিতে খাল খননের কাজ শুরু হওয়ায় কালভার্টটি পড়েছে আরো বেশী ঝুঁকিতে।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) ||

বহু পুরোনো কালর্ভাট তিনবার সংস্কার পর আবারো ভেঙ্গে গেছে। ঝুঁকি নিয়েই ভাঙা কালভার্ট দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে স্থানীয়দেরকে। বিশেষ করে রাতের বেলায় পথচারীসহ গ্রামবাসীদের  কালভার্টটি যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

এটি ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল-নেকমরদ মহাসড়ক ঘেঁষা মীরডাঙ্গী হয়ে কাতিহার পাকা রাস্তার সড়কের বাজেবাকসার পাবনী এলাকায় এই ব্রিজ। উপজেলা স্থানীয় সরকার পুরকৌশল বিভাগের আওতাধীন ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, স্থানীয় মানুষসহ যানবাহন চলাচলে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালভার্টটির বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে গেছে। মাঝবরাবর বৃত্তের মতো অনেকটা অংশ ভেঙ্গে যাওয়ায় যে কোন কেউ বিশেষ করে রাতের বেলায় পড়ে যেতে পারেন নীচে।  এটি মেরামতে বা নতুন করে সংস্কারে তৎপরতা নেই স্হানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের। 

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, পুরোনো এ কালভার্ট নিয়ে প্রশাসনের নেই কোনো তাগাদা আর মাথা ব্যথা । ব্রিজ সংলগ্ন জমিতে খাল খননের কাজ শুরু হওয়ায় কালভার্টটি পড়েছে আরো বেশী ঝুঁকিতে।

সারাবছর ধান গম সবজি চাষীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দ্রুত সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার দাবি জানিয়েছন এলাকাবাসী। 

জানা যায়, একাধিকবার সংস্কার হওয়া এই সেতুটি পথচারী ও যানবাহনের চলাচলে ব্যাপক ঝুঁকি রয়েছে। ভেঙে নতুন করে কালভার্টটি নির্মাণ করলে তবেই সাধারণের দুর্ভোগ কমবে।

উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সুত্রে জানা যায় বছর তিনেক আগে মীরডাঙ্গী হয়ে কাতিহার হাট পযর্ন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার সড়ক নতুন করে নির্মাণ করা হয়। তবে সেসময় বিভিন্ন জটিলতায় ঐ ব্রিজটির অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় নতুন করে এ ব্রিজটি নির্মাণ সম্ভব হয়নি।

জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী তারেক বিন ইসলাম জানান, কালভার্টটি সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। প্রকল্পের বরাদ্দ অনুমোদন  হলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদ সারাদিন