নদী ভাঙছে কুড়িগ্রামে হুমকিতে বসত আর স্কুল কলেজ

কুড়িগ্রামে নদনদীর পানি গত দু’একদিন থেকে কমতে শুরু করলেও বেড়েছে ভাঙন। হুমকিতে পড়েছে বসতভিটা, বাজার আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এদিকে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সামান্য কমা-বাড়ার মধ্য দিয়েই চলছে। তবে তা বিপৎসীমার অনেকটা নিচ দিয়ে বইছে।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম ||

কুড়িগ্রামে নদনদীর পানি গত দু’একদিন থেকে কমতে শুরু করলেও বেড়েছে ভাঙন। হুমকিতে পড়েছে বসতভিটা, বাজার আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এদিকে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সামান্য কমা-বাড়ার মধ্য দিয়েই চলছে। তবে তা বিপৎসীমার অনেকটা নিচ দিয়ে বইছে।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে নদনদীর পানি আবারো বাড়তে পারে। যা শেষ অবধি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।

গত কয়েকদিন ধরেই পানি কমতে থাকায় শুরু হয়েছে পাড় ভাঙন। জেলার ১৬টি নদনদীতে প্রায় অর্ধশত পয়েন্টে ভাঙছে নদীর পাড়। এতে গত এক সপ্তাহে প্রায় সাড়ে ৪শ’রবেশী ঘরবাড়ি নদীতে চলে গেছে।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দুধকুমার নদীর ভাঙনে হুমকিতে রয়েছে ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

উপজেলার পাইকের ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস সামাদ বলেন, গত বছর দুধকুমার নদের ভাঙনে বিদ্যালয়ের অর্ধেক মাঠ নদীতে চলে গেছে। দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে এবার আর বিদ্যালয়টি রক্ষা করা সম্ভব হবেনা। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব দিয়ে ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেয়া হলেও তা কার্যকর হচ্ছেনা। নতুন নতুন এলাকায় ভাঙন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।

উজানে তিস্তা নদীতে রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙা ও উলিপুরের বেশ কয়েটি জায়গায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র নদে সদর উপজেলার মোগলবাসা ও যাত্রাপুরে পাড় ভাঙছে।

জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, তলিয়ে থাকা চরের প্রায় ১শ হেক্টর জমির শাকসবজি, পটল, ঝিঙে, চিচিঙা, করলাসহ নানা জাতের সবজির অনেকটাই নষ্ট হওয়ার উপক্রম। এছাড়াও আগাম ১শ হেক্টর জমির পাট বন্যার কারনে ইতোমধ্যেই কৃষকরা কেটে ফেলেছ্ন। 

সংবাদ সারাদিন