টেকনাফের উখিয়াতে পাহাড় ধসে রোহিঙ্গাসহ নিহত সাতজন

পাহাড় ধসে ক্যাম্প ১০ এর ব্লক জি/৩৭ এর বাসিন্দা শাহ আলমের স্ত্রী দিল বাহার (৪২) পুত্র শফিউল আলম (৯) ও ব্লক জি/ ৩৮ এর বাসিন্দা ইউসুফের স্ত্রী দিল বাহার (২৫), পুত্র আব্দুর রহমান (২৫), মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা ও ক্যাম্প ৮এর পানিতে ডুবে এক শিশুসহ ৬জন নিহত হয়েছে। এ সময় শাহ আলমের মেয়ে নুর ফাতেমা (১৪) ও পুত্র জানে আলম (৮)সহ গুরুতর আহত হয়েছে আরো ৫জন।

|| সাদ্দাম হোসাইন, টেকনাফ থেকে ||

টেকনাফজুড়ে ভারী বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধস ও পানিতে ডুবে উখিয়াতে রোহিঙ্গা নারী শিশুসহ ৭ জন নিহত হয়েছে। গেলো ২৭শে জুলাই মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ের পাদদেশে থাকা উখিয়া বালুখালী ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে পাহাড় ধসে ক্যাম্প ১০ এর ব্লক জি/৩৭ এর বাসিন্দা শাহ আলমের স্ত্রী দিল বাহার (৪২) পুত্র শফিউল আলম (৯) ও ব্লক জি/ ৩৮ এর বাসিন্দা ইউসুফের স্ত্রী দিল বাহার (২৫), পুত্র আব্দুর রহমান (২৫), মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা ও ক্যাম্প ৮এর পানিতে ডুবে এক শিশুসহ ৬জন নিহত হয়েছে। এ সময় শাহ আলমের মেয়ে নুর ফাতেমা (১৪) ও পুত্র জানে আলম (৮)সহ গুরুতর আহত হয়েছে আরো ৫জন।

১৬ এপিবিএন অধিনায়ক এসপি মো. তারিকুল ইসলাম তারিক সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গত ক’দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ের পাদদেশে থাকা ক্যাম্পগুলোতে ধসে মরা মাটি পড়ে। নিহতদের ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা চলছে। ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের নিরাপদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে এবং উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত আছে।

কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মু. শামসুদ্দৌজা নয়ন বলেন, ভারী বৃষ্টিতে ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৫ জন ও ক্যাম্প ৮ ইস্টে পানিতে ডুবে একজন শিশুসহ ৬জন নিহত হয়েছে ৷ আহতদের উদ্ধার করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অপরদিকে একই দিন বেলা ১১টায় টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে পাহাড় ধসে রকিম আলী নামের (৬৫) বয়সী এক বৃদ্ধ আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। সেই হোয়াইক্যং মনিরঘোনা এলাকার মৃত আলী আহমদের পুত্র। বাড়িতে অবস্থানকালে হঠাৎ পাহাড় ধসে তিনি আহত হন। উদ্ধার করে বালুখালি তুর্কি হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. এরফানুল হক চৌধুরী, হোয়াইক্যং ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী ও হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ি আইসি এসআই মাহামুদুল হাসান মাহবুব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. পারভেজ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ সহায়তা করা হবে। পাশাপাশি ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদে সরে যেতে বলা হচ্ছে।

সংবাদ সারাদিন