|| আলী আকবর, জামালপুর থেকে ||
চলমান কঠোর লকডাউন শেষ হওয়ার চারদিন আগেই পয়লা অগাস্ট থেকে রপ্তানিমুখী সকল শিল্প কারখানা খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। শুক্রবার ৩০শে জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে রপ্তানিমুখী সকল শিল্প কারখানা খুলে দেয়ার অনুমতির কথা জানায়। সরকারের এমন নির্দেশনার খবর পেয়ে ঈদে বাড়িতে আসা কর্মজীবী মানুষেরা ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। আজ শনিবার ৩১শে জুলাই সকাল থেকেই জামালপুরের ফেরিঘাট, ছনকান্দা, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড ও পৌর বাসস্ট্যান্ড থেকে রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে পণ্যবাহী ট্রাক এবং পিকআপে গাদাগাদি করে ঢাকায় ছুটছেন কর্মজীবী এসব মানুষ।
সরকারের সিদ্ধান্ত জানবার পর দেশের রফতানিমূখি শিল্পের অন্যতম দাবিদার কারখানামালিকদের বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন-বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, “অধিকাংশ কারখানার শ্রমিক কারখানার আশপাশে অবস্থান করছেন। আপাতত তাদেরকে দিয়েই কাজ চালিয়ে নেওয়া হবে। এর মধ্যে যারা বাড়ি চলে গেছেন, এসব শ্রমিক যদি আসতে পারেন তাহলে চলে আসবেন।”
লকডাউন শিথিল হওয়ার পর দূরের শ্রমিকরা চলে আসবেন জানিয়ে তিনি বলেন, “এই কয়েকদিনের জন্য কারও চাকরি যাবে না, বেতন কাটা যাবে না। তবে সম্ভব হলে শ্রমিকরা অবশ্যই ফ্যাক্টরিতে চলে আসবেন। এখন শুধু রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানাগুলোর রপ্তানি কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চলবে।”
তবে শ্রমিকরা বলছেন, আগেও মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র নেতারা এমন অনেক কথাই বলেছেন। তাদের কথায় সায় দিয়ে অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন। তাই মালিকদের এমন কথায় কোন ভরসা নেই তাদের। তারা বরাবরই কথার বরখেলাপ করেন। মিডিয়ার সামনে বলেন এক কথা আর কারখানায় চলে তাদের স্বেচ্ছাচারিতা। তাই যে কোন ঝুঁকি নিয়ে হলেও তারা চাকরি বাঁচাতে ঢাকায় ছুটছেন। এই মহামারিতে এমনিতেই বিপর্যস্ত অবস্থা। তারমধ্যে চাকরি গেলে না খেয়েই মরতে হবে।