এথসো সংস্কার হয়নি সুন্দরগঞ্জের বন্যাবিধ্বস্ত রাস্তা

ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার দু'পাশের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ ৬টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চলাচলের ভোগান্তিতে পড়েছে। বর্ষাকালে এলাকার শিক্ষার্থীরা স্কুল-মাদ্রাসায় যেতে পারে না।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা ||

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা চার বছরেও সংস্কার হয়নি। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকার মানুষ। সুন্দরগঞ্জ  উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের তালুক বেলকা গ্রামের আফতাব আলীর বাড়ীর সামন থেকে শ্যামরায়ের পাঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ২শত মিটার কাঁচা রাস্তা ২০১৭ সালের বন্যায় ভেঙে যায়। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার অংশ চার বছরেও সংস্কার হয়নি। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার দু’পাশের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ ৬টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চলাচলের ভোগান্তিতে পড়েছে। বর্ষাকালে এলাকার শিক্ষার্থীরা স্কুল-মাদ্রাসায় যেতে পারে না। এছাড়া পার্শ্ববর্তী হরিপুরসহ কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার সাথে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহরে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই রাস্তা।

এলাকাবাসী বলেন, ২০১৭ সালের বন্যায় রাস্তাটির এ অংশ ভেঙে গেলেও গত চার বছরেও তা সংস্কার হয়নি। বর্ষাকালে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয় তাদের। এলাকার যুব সমাজ স্বেচ্ছাশ্রমে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করলেও বন্যার পানি নেমে যাওয়ার কয়েকদিন পরে ইউনিয়ন পরিষদ মহিলা সদস্যের স্বামী কাউকে না জানিয়ে সাঁকোটি বিক্রি করে দেয়। পরের বছর রাস্তা সংস্কার না করে ইউনিয়ন পরিষদ ৫০ফিট দৈর্ঘ্যের একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণ করে। সাঁকোটির দু’পাশে সংযোগ স্থাপনের জন্য বাঁশের সাঁকো দেয়া হয়। যা কয়েকদিন পর ভেঙে যায়। রাস্তাটি সংস্কার না করায় আশে-পাশের কৃষি জমিতে বালু পড়েছে। ফলে জমিগুলো পতিত পড়ে আছে।

বেলকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইব্রাহীম খলিলুল্যাহ বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সংস্কার করা হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে।

সংবাদ সারাদিন