কি খাওয়াচ্ছে খাগড়াছড়ি বনফুল
|| সারাবেলা প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি ||
“বিশুদ্ধ খাবারের বিশ্বস্ত নাম” এই স্লোগান নিয়ে রকমারী খাবারপণ্য তৈরি করে থাকে বনফুল এন্ড কোং। এই প্রতিষ্ঠানটির খাগড়াছড়ি শাখার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে অস্বাস্থকর পরিবেশে খাদ্য পরিবহণের। ক্রেতারা সাধারণত নামি-দামি ব্রান্ড দেখে পণ্য কিনে থাকেন সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতারণা করে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। ফ্রিজাপ ভ্যানে বা স্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিজস্ব গাড়িতে মান সম্মতভাবে পণ্য পরিবহণের কথা থাকলেও তা মানছে না খাগড়াছড়ি বনফুল।
খাগড়াছড়ির আদালত সড়কের সেলিম ট্রেড সেন্টারে অবস্থিত বনফুল শাখা দিনের পর দিন সাধারণ গ্রাহকদের চোখে ধুলো দিয়ে নিজস্ব পরিবহণে তাদের খাদ্য আনা নেওয়া করা হয় দাবী করে আসলেও এবার তাদের খাদ্য পরিবহণের আসল রহস্য বেরিয়ে এসেছে।
মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামে শান্তি পরিবহণে কেক, দই, মিষ্টি, পিৎজ্জা থেকে শুরু করে সব ধরনের পন্য মানহীন ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আনার সত্যতা মেলে। প্রতিদিন সকালে চট্টগ্রাম থেকে আসা শান্তি পরিবহণের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে যত্রতত্র ভাবে এসব সামগ্রী নিয়ে আসা হচ্ছে খাগড়াছড়িতে। যাত্রীবাহি পরিবহণে যেখানে করোনার এমন সময়ে সচেতনতা অবলস্বন করা হচ্ছে, সেখানে বনফুল নানা ধরনের মালামাল পরিবহণের সেই সাইট বক্সে আনছেন অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে তাদের খাদ্যপণ্য।
মাছি, কাঁদা থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ মানহীনভাবে ধুলাবালি মেশানো পরিবেশে এসব পণ্য যেভাবে আসছে এতে করে এসব খাদ্যপণ্য মানুষের শরীরের জন্য যেমনি ঝুঁকিপূণ, তেমনি রোগ,জীবানুর বাহকে পরিণত হতে পারে।
এসব বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে প্রতিষ্ঠানটির খাগড়াছড়ি শাখার ম্যানেজার এইচ এম বাপ্পী, বলেন, ব্যবসায়ে লস হচ্ছে। তাই গাড়ী আনা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আগামী ৭ই জুলাই থেকে তাদের নিজস্ব গাড়ীতেই পণ্য আনা হবে।
এসব মানহীন ও নোংরা,জীবানু যুক্ত ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দৃশ্য দেখলে সাধারন মানুষের মধ্যে প্রশ্ন দাড়ায় বনফুল স্লোগান “বিশুদ্ধ খাবারের বিশ্বস্ত নাম” এর সাথে প্রতিষ্ঠানটির কাজের কতটা গরমিল। বনফুলের এক গ্রাহক বলেন, খাগড়াছড়িতে কি খাওয়াচ্ছে বনফুল।
এ সময় তিনি প্রতারণার অভিযোগ তুলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনি প্রদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্থক্ষেপ দাবী করেন। সে সাথে এটি ভোক্তা অধিকার আইনের চরম লঙ্ঘন বলেও মন্তব্য করেন।