|| সারাবেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম ||
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এর যথাযথ সুপারিশ পেয়েও কলেজ অধ্যক্ষের অসহযোগিতায় প্রভাষক পদে যোগ দিতে পারছেন না মোছাম্মৎ উম্মেহানি। অনিয়মটি ঘটেছে কুড়িগ্রাম জেলার চিলামারী উপজেলার গোলাম হাবিব মহিলা ডিগ্রি কলেজে।
চাকরিতে যোগ দিতে না পেরে উম্মেহানি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট বিভাগে ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে।
বিধি সম্মতভাবে মোছাম্মৎ উম্মেহানি চলতি বছরের ১৬ই ফেব্রুয়ারি কুড়িগ্রামের চিলমারী গোলাম হাবিব মহিলা ডিগ্রি কলেজের চাহিদার বিপরীতে বাংলা প্রভাষক পদে প্রতিস্থাপনের জন্য নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সুপারিশ প্রাপ্ত হন। সুপারিশ পত্র অনুযায়ী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কলেজে যোগদান করার কথা। সে অনুযায়ী গত ২৩শে ফেব্রুয়ারি উম্মেহানি প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ কলেজে যান। ওইদিন কলেজের অধ্যক্ষ জাকির হোসেন এনটিআরসিএ কতৃপক্ষের কাগজ পত্র দেখে বলেন, এখন আমি ব্যস্ত। বেধে দেয়া সময় সীমার মধ্যে নিয়োগ দেয়া হবে। পরবর্তীতে একাধিক বার তার কাছে গেলে তিনি নিয়োগ না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন। এ অবস্থায় উম্মেহানি বিষয়টি সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানান।
উম্মেহানি জানান, যোগ্যতা অনুসারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও কলেজে যোগ দিতে পারিনি। আমি এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। যোগদান নিশ্চিত করতে শিক্ষামন্ত্রী ও এনটিআরসিএ চেযারম্যান মহোদয়ের হস্তক্ষেপ দাবি করছি।
এ ব্যাপারে বৃহসপতিবার অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মুলক ফরওয়ার্ডিং না আসায় আমি যোগদান নিতে পারিনি। কলেজে শিক্ষক সংকট রয়েছে, নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের চিঠি পেলে যোগ দিতে দেয়া হবে।
চিলমারী উপজেলা নিবার্হী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ্, অভিযোগ পাবার কথা স্বীকার করে বলেন বিষয়টি দেখবো।
জেলা শিক্ষা অফিসার (ডিইও) মো. শামছুল আলম জানান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছি। প্রতিবেদন হাতে এলে বিধি সম্মতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
