কঠোর লকডাউনেই রোববার থেকে খুলছে রপ্তানিমুখী কারখানা

“অধিকাংশ কারখানার শ্রমিক কারখানার আশপাশে অবস্থান করছেন। আপাতত তাদেরকে দিয়েই কাজ চালিয়ে নেওয়া হবে। এর মধ্যে যারা বাড়ি চলে গেছেন, এসব শ্রমিক যদি আসতে পারেন তাহলে চলে আসবেন।“

|| সারাবেলা প্রতিবেদক ||

চলমান কঠোর লকডাউন শেষ হওয়ার চারদিন আগেই পয়লা অগাস্ট থেকে রপ্তানিমুখী সকল শিল্প কারখানা খোলার অনুমতি দিলো সরকার। শুক্রবার ৩০শে জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে রপ্তানিমুখী সকল শিল্প কারখানা খুলে দেয়ার অনুমতির কথা জানায়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রোববার সকাল ৬টা থেকে এসব শিল্প কারখানা চলমান কঠোর লকডাউনে জারি করা বিধিনিষেধের আওতাবর্হিভূত থাকবে।

উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।

এদিকে সরকারের দিক থেকে কারখানা খোলার অনুমতি জানানোর পর বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, “এখন শুধু রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানাগুলোর রপ্তানি কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চলবে।” কারখানার কর্মী ও শ্রমিকদের কাজে যোগ দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “অধিকাংশ কারখানার শ্রমিক কারখানার আশপাশে অবস্থান করছেন। আপাতত তাদেরকে দিয়েই কাজ চালিয়ে নেওয়া হবে। এর মধ্যে যারা বাড়ি চলে গেছেন, এসব শ্রমিক যদি আসতে পারেন তাহলে চলে আসবেন।“

লকডাউন শিথিল হওয়ার পর দূরের শ্রমিকরা চলে আসবেন জানিয়ে তিনি বলেন, “এই কয়েকদিনের জন্য কারও চাকরি যাবে না, বেতন কাটা যাবে না। তবে সম্ভব হলে শ্রমিকরা অবশ্যই ফ্যাক্টরিতে চলে আসবেন।”

করোনাভাইরাস সংক্রমণের চলমান ঊর্ধ্বগতির মধ্যে এতদিন শিল্প কারখানা বন্ধ রাখার বিষয়ে সরকার অনড় থাকলেও শেষ পর্যন্ত তৈরি পোশাক শিল্পসহ সব ধরনের শিল্পমালিকদের অনুরোধকেই আমলে নেয়া হলো। এসব মালিকরা কারখানা খুলে দিতে সরকারের উচ্চ মহলে বারবার অনুরোধ করে আসছিলেন।

বৃহস্পতিবার তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবারও অনুরোধ জানান। এদিন ব্যবসায়ীদর সংগঠণ এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমইএ ও ঢাকা চেম্বারের নেতারা সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে এক বৈঠকে এই অনুরোধ জানান।

তারা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার হারানোর শঙ্কা, সাপ্লাই চেইন ভেঙে পড়া, বন্দরে জট, সার্বিক অর্থনীতিসহ সবকিছু বিবেচনা নিয়েই তারা এ অনুরোধ জানাতে বাধ্য হয়েছেন।

করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণ হারের কারণে কোরবানি ঈদের পরদিন ২৩শে জুলাই থেকে ৫ই অগাস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউনে শিল্প কারখানা, সরকার-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সব ধরনের অফিস আদালত বন্ধ রাখা হয়।

তবে ঈদের আগের লকডাউনের বিধিনিষেধের মধ্যে জরুরি ছাড়া সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও শিল্প কারখানা চালু ছিল।

সংবাদ সারাদিন