|| সারাবেলা প্রতিনিধি, রামপাল (বাগেরহাট) ||
মোংলা ঘষিয়াখালী চ্যানেল খননে দূর্ভোগে পড়েছে রামপালের বাইনতলা ইউনিয়নের সগুনা গ্রামের বাসিন্দারা৷ চ্যানেল খনন করতে গিয়ে চলাচলের একমাত্র সেতুটি ভেঙ্গে ফেলায় চরম বিপত্তিতে পড়েছেন তারা৷ সেতু ভাঙ্গার দুই বছর হয়ে গেলেও সেখানে বিকল্প কোনো পারাপারের ব্যাবস্থা করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষুব্ধ বিপদগ্রস্ত মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রামপালের বাইনতলা ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত দাউদখালী নদীর সগুনা অংশে যানবাহন ও জনসাধারন চলাচলের একটিমাত্র সংযোগসেতু ছিল ৷ নদী খননের কিছুদিনের মধ্যেই সেতুটি ভেঙ্গে ফেলা হয়৷ এরপরই একবার মাটির বাঁধ, একবার কাঠের পাটাতন দিয়ে লোক চলাচলের ব্যাবস্থা করা হয়৷ গত ৬/৭ মাস আগে সেটিও কেটে দেওয়া হয়৷ ফলে শুধু নৌকায় লোকজন পারাপার ছাড়া এই পথে চলাচলের কোনই উপায় নেই৷ এদিকে এই রাস্তাটি দিয়ে অন্তত ৪/৫ টি গ্রামের মানুষ যানবাহন নিয়ে চলাচল করে৷ তারাও পড়েছেন বিপত্তিতে৷
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/04/IMG_20210412_160318.jpg?resize=1055%2C586&ssl=1)
সূত্রে প্রকাশ, নদী সচল করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী মোংলা ঘষিয়াখালী চ্যানেল এবং এর সাথে সংযুক্ত ৮৩টি খাল ও নদী খননের কাজ শুরু হয়। ধাপে ধাপে বিভিন্ন নদী খননের একপর্যায়ে দাউদখালী নদী খননের কাজ শুরু হয়৷ এখনও পর্যন্ত সেখানে খনন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে নৌবাহিনী ৷
দাউদখালী নদীর ফয়লাহাট থেকে চাকশ্রী বাজার পর্যন্ত খননের কাজ চলছে৷ ফয়লাহাট থেকে আনুমানিক ২ কিমি পূর্বে বাইনতলা ইউনিয়নের সগুনা-গোবিন্দপুর মৌজায় পারাপারের একমাত্র মাধ্যম কালভার্টটি কাজের শুরুতেই ভাঙা হয়েছিল৷ পরে স্থানীয়দের অনুরোধে সেখানে মাটির বাঁধ দিয়ে লোকজন চলাচলের ব্যাবস্থা করেন খাল খননের দায়িত্বে নিয়োজিত লোকজন৷ এরপর থেকেই নানা সময় একবার সেই রাস্তা কেটে পানি সরবরাহ করা হয়, আবার বন্ধ করা হয়। সম্প্রতি সেটিকে স্থায়ীভাবে কেটে দেয়া হয়েছে৷
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/04/IMG_20210412_160331.jpg?resize=1054%2C598&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/04/IMG_20210412_160331.jpg?resize=1054%2C598&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/04/IMG_20210412_160331.jpg?resize=1054%2C598&ssl=1)
যে কারণে এই পথ দিয়ে পাশ্ববর্তী গ্রাম সগুনা, কুমলাই, ও গিলাতলা হ অন্তত ৪/৫ টি গ্রামের বাসিন্দারা পড়েছেন বিপদে। অপরদিকে গ্রামের পেছনের একটিমাত্র ভাঙ্গা ইটের রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন লোকজন ও ভ্যান রিক্সায় চলতে গিয়ে সেটিও প্রায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে৷ সাথে বাড়তি ঝামেলা হিসাবে যোগ হয়েছে ওই রাস্তার পুরানো এক কালভার্ট৷ কালভার্টের বেশীরভাগ অংশই ধ্বসে পড়েছে৷ যে কোন সময় সেটি সম্পূর্ন ভেঙ্গে গিয়ে প্রাণহানীর ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন নিত্যযাত্রীরা৷
বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন এখান দিয়ে থেকে হাজার হাজার লোক যাতায়েত করে৷ এই বাঁধ কাটাতে লোকজন যাতায়েতের কোনো ব্যাবস্থা নেই৷ ভাঙা নৌকা দিয়ে লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে৷ বেশ কয়েকবার দূর্ঘটনাও ঘটেছে৷ আমাদের কোনো উপায় নেই৷ একটা লোক অসুস্থ হলে কিভাবে হাসপাতালে যাবো তাও জানা নেই৷ এখানে একটি সেতু করার দাবী জানাই৷